গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) হযরত আলীকে অবশেষে স্ট্যান্ড রিলিজ ও পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। ফলে বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ(তদন্ত) আবদুর রহিমকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে ওই রাতেই বকশীগঞ্জ থানা ত্যাগ করেছেন ওসি হযরত আলী।
জানা যায়, ওসি হযরত আলী ৬ মাস আগে বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি যোগদানের পর থেকে বকশীগঞ্জ থানার এস আই শরীফের সহযোগিতায় নির্দোষ স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি, ধর্ষণ ও অপহরণকারীর পক্ষে সাফাই গাওয়াসহ, ধড় পাকড়ের নামে ঘুষ বাণিজ্য, ও মডেল মসজিদ নিয়ে অশালীন মন্তব্যসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। একই সময়ে ওসি হযরত আলী বকশীগঞ্জ থানা বর্তমান স্থান থেকে বিনা কারণে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন। স্থানীয় জনসাধারণ বর্তমান স্থানে থানার কার্যক্রম বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেন এবং মানববন্ধন করাসহ নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসি। ওসির উল্লিখিত বিষয়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগের সততা পাওয়ায় পুলিশের উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষ বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ হযরত আলীকে স্ট্যান্ড রিলিজ ও পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার আদেশ দেন। আদেশের পর বকশীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) আবদুর রহিমকে গত বৃহস্পতিবার রাতেই
দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তিনি থানা ত্যাগ করতে বাধ্য হন ওসি হযরত আলী। ফলে বকশীগঞ্জ থানার অন্যান্য অফিসাররা তাকে অনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানানোরও সুযোগ পর্যন্ত পাননি বলে জানাযায়।
এ ব্যাপারে ওসি হযরত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরকারি চাকুরি করি। সরকারের নির্দেশ আমি মানতে বাধ্য। তাই উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের আদেশ মতে আমি আমার দায়িত্ব হস্তান্তর করে কর্মস্থল ত্যাগ করেছি।
অপরদিকে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রহিম(তদন্ত) তিনিি জানান, দায়িত্ব নিয়ে আমি আমার কর্তৃপক্ষের আদেশ পালন করেছি।
উল্লেখ্য এলাকাবাসিদের মতে, হযরত আলী গত ২০০৯ সালে বকশীগঞ্জ থানায় সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগদান করে ছিলেন।সেই সময়ও তিনি এ থানা থেকে বিদায় সম্মান নিয়ে যেতে পারেননি। ২০১৯ সালের কর্মকর্তা ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করে ৬ মাস পর আবারও একই ভাবে হযরত আলীকে বকশীগঞ্জ থানা থেকে রাতের আঁধারে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিতে হলো।